| |
               

মূল পাতা সারাদেশ জেলা গণতন্ত্র ফেরাতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে : গয়েশ্বর


গণতন্ত্র ফেরাতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে : গয়েশ্বর


রহমত নিউজ ডেস্ক     11 February, 2023     05:15 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র ফেরাতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার পতন অনিবার্য। এজন্য তার পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে পড়েছে জাতির সামনে। অবৈধ বা বৈধ হোক সংসদ বিলুপ্ত হওয়া বা সংসদের আসন শূন্য না হওয়া পর্যন্ত আরেকটি নির্বাচন হয় না। সেই কারণে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন আছে, এরা শেখ হাসিনার বাড়ির চাকরের চেয়ে অধম। এরা কখনো নির্বাচন করতে পারবে না। এজন্য এ নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে।

আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) শনিবার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে আলুকান্দা স্যান্ড বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন বক্তব্য দেন।  

গয়েশ্বর বলেন, আজ দেশের ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি হচ্ছে। দাবি এক, আমরা একটা সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন চাই। আমরা আমাদের ভোটের অধিকার চাই। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমার ভোট আমি দেব, কেন্দ্রে গিয়ে দেব এবং রাতে নয় দিনে দেব। এটা হচ্ছে আমাদের মূল দাবি। এ দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আমাদের ১০ দফা দাবি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তিনি ভোটে নির্বাচিত না। পুলিশ কর্তৃক রাতের বেলায় ভোট দিয়েছে। আপনারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং উপজেলা ও সংসদ নির্বাচনের কোথাও ভোট দিতে পারেন না।

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন না- এর জন্য তো দেশটা স্বাধীন হয়নি। আমরা তো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। এ স্বাধীন দেশে আমি ভোট দিতে পারব না কেন? দুধের মধ্যে তেঁতুল পড়লে দুধ নষ্ট হয়। সুতরাং শেখ হাসিনা যেখানে আছে সেখানে গণতন্ত্র নষ্ট। অর্থাৎ যেখানে শেখ হাসিনা থাকে সেখানে গণতন্ত্র থাকে না। বিএনপির নেতা দিয়ে নয়, দেশের বিশিষ্টজনদের দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকার একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারপর একটা নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে ভোট দেবেন আপনারা। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।   

তিনি আরো বলেন, আমরা কেন রাজপথে নেমেছি। এর একটি কারণ আছে। এখানে যারা দোকান করেন, ব্যবসা করেন এবং যারা ক্রয় করেন- প্রত্যেকটা জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু আপনাদের আয় কী লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে? এ সময় সবাই বলে উঠেন ‘না’। যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, আর আয় যদি না বাড়ে- তাহলে চলবেন কীভাবে? বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। সারা পৃথিবীতে জ্বালানি তেলের দাম কমছে, কিন্তু আমাদের দেশে বিদ্যুতের দাম লাগামহীনভাবে বাড়াচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম যদি বাড়ে, তাহলে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়বে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ আছে? সবাই বলে উঠেন ‘না’। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী যখন গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমাতে পারেন না, তাহলে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন। গ্যাস-বিদ্যুতের কথা বললে মন্ত্রী সাহেব মনে করেন, তার বিরুদ্ধে বলছি। না, আপনার বিরুদ্ধে বলছি না।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা কেরাণীগঞ্জ